আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব?

আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব?

মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি ঃ বয়সে ভারে হাঁটাচলা করার শক্তিটুকুও নেই। না খেয়ে দিন যাচ্ছে। আমরা বেচে আছি না মরে গেছি কেউ একটু খোঁজ খবর ও রাখে না অশ্রুসিক্ত কৎবানুর কথাগুল শরীরে কাটা দিয়ে যাচ্ছে। নিজের কাছে মনে হচ্ছে কোন এক আদিম যুগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বরগুনার তালতলী উপজেলার তুলাতলী এলাকায় কালামের পতিত জমিতে দেখা যাবে একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘর। ঘর না বলে একে ঝুপড়ি বললেই যথার্থ হবে। এখানেই বাস আব্দুল ও কৎবানু দম্পতি বয়সের ভারে শরীর নুয়ে পড়েছে আব্দুলের। দৃষ্টি শক্তি একদমই নেই, শরীরে নেই তেমন কোনো বস্ত্র। সারাটা দিনই বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়। দু’মুঠো ভাতের জন্য শেষ বয়সে আবদুল ও কৎবানুর দুঃখের শেষ নেই অসুস্থ স্বামীকে বাসায় রেখে কৎবানু চলেন এ বাড়ি-ও বাড়ি ভিক্ষার জন্য। ভিক্ষার ঝুলিতে যা সংগ্রহ হয়, তা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাদের জীবন। তাদের ভাষায়, ভিক্ষা সংগ্রহ হলে খাবার মিলে, না হলে থাকতে হয় উপোস। দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার হতদরিদ্র অসহায় লোকজনদের বয়স্কভাতা কিংবা ডিজিএফ বিজিডির চাল দিলেও জনপ্রতিনিধিদের নজরে আসেনি এই দম্পতি। আবদুলের ৮০ বৎসর বয়সে ভাগ্যে জোটেনি কোন বয়স্ক ভাতা। আমার কাছে ৮০ বসরের আব্দুলের প্রশ্ন ছিল কত বৎসর হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়া যায়। নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাল গলাটা ধরে আসছে উত্তরটা মুখফুটে বলার সাহস হয়নাই, পকেটে কয়েকটা টাকা ছিল দিয়ে চলে এসেছি। এলাকা বাসীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন এই নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি । বার্ধক্যের কারণে এখন স্বামী-স্ত্রী দুজনই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। ’ কয়েক বছর আগে দৃষ্টি শক্তি হারানোর কারণে আব্দুল এখন পুরোপুরি অচল। কৎবানুর চোখেও পড়েছে ভারী ছানি। বিসমিল্লাহ ড্রাগ হাউজের মালিক গ্রাম ডাঃ মোঃ মহাসিন রেজা বলেন, ‘ সুযোগ হলে আমার সাধ্যমত সহায়তা করি, শত দারিদ্র্যের মধ্যেও এই দম্পতি প্রথমে ভিক্ষা করেননি দিন মজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্থানীয় আরেক দোকানদার চিত্ত রঞ্জন বলেন, ‘তাঁদের আয়-রোজগার নেই। চিকিৎসক দেখানো জরুরি হলেও তার সাধ্য নেই বুড়িও ইদানীং দুর্বল হইয়া গেছে বাচপেনা একজনও মনে হয়। খোজ নিয়ে জানাগেছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন সাহাজ্য সহোযোগিতায় পায়না এই দম্পতি বয়স্কভাতার লিস্টেও তারা অন্তর্ভুক্ত নেই।